অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে অমুসলিম ও পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে ইসরায়েল। পবিত্র রমজান মাস শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) নাবলুসে দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যার পর ইহুদিবাদী ইসরায়েল এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে ইসরায়েলি পুলিশ আল-আকসা মসজিদ ভাংচুর করে। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে নতুন করে সহিংসতা দেখা দেয়। গাজা, লেবানন ও সিরিয়া থেকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে রকেট ছোড়া হয়। এছাড়া ফিলিস্তিনি সশস্ত্র যোদ্ধারা এই ঘটনার প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করে।
এ কারণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আল-আকসায় অমুসলিমদের ভ্রমণ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে বাধ্য হন। নেতানিয়াহু মঙ্গলবার নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর তিনি জানান, রমজানের শেষ পর্যন্ত কোনো অমুসলিমকে আল-আকসা প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।
তবে, ফিলিস্তিন এখন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞায় সাড়া দেয়নি। নেতানিয়াহুর কট্টরপন্থী পুলিশ মন্ত্রী ইতামার বেন-গাভির অবশ্য এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘সন্ত্রাসীরা যখন আমাদের আঘাত করে, তখন আমাদের আরও শক্তি দিয়ে পাল্টা আক্রমণ করা উচিত, তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করা উচিত নয়।’
গত এক বছরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত আরও বেড়েছে। এবার রমজান মাস আসার পর উত্তেজনা আরও বেড়েছে। কারণ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইহুদিরা পবিত্র রমজান মাসে ফাসাহ উপলক্ষে আল-আকসায় প্রবেশের চেষ্টা করেছিল।
এদিকে নাবলুসে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তাদের লক্ষ্য করে হামলা চালাতে গিয়ে দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। জবাবে ফিলিস্তিনিদের গুলি করে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পর দুই ফিলিস্তিনি নাগরিকের লাশ নিয়ে যায় ইসরায়েলি সেনারা। নিহতদের স্বজনদের শাস্তি দেওয়ার জন্য ইসরায়েল মৃতদেহ আটকে রাখার মতো ভয়ানক কাজ করে।
Leave a Reply